Wellcome to National Portal
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ August ২০২৩

মাননীয় মন্ত্রী

মাননীয় মন্ত্রী

 

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর গাজীপুর সদর উপজেলার দাখিণ খান গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম ডাঃ আনোয়ার আলী ও মাতার নাম মরহুমা রাবেয়া খাতুন।

 

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতৃত্বদানের মাধ্যমেই ছাত্রলীগ রাজনীতিতে পথযাত্রা। তিনি ১ মেয়াদে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও দুই মেয়াদে সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গাজীপুর (ঢাকা সদর উত্তর) মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৪৭ বছর যাবৎ তিনি গাজীপুর জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

 

তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের বিরুদ্ধে সম্মুখে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং ব্রিগেডিয়ার জাহানজেবকে জয়দেবপুর থেকে ফেরৎ চলে আসতে বাধ্য করেন।

 

স্থানীয় সরকার পরিচালনায় তিনি বিশেষ দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একটানা ৩৫ বৎসর স্থানীয় সরকারের নেতৃত্ব দেন। তিনি ৩ বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান; ৪ বার পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচিত হন। কয়েকবার তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৬ ও ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ঢাকা সদর উত্তর মহকুমার কার্যালয় (SDO অফিস) গাজীপুরে স্থানান্তরিত করা ও পরবর্তীতে গাজীপুর জেলা বাস্তবায়নে মূলতঃ একক দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে গাজীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বহু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদসহ অনেক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন, ভাতা, বোনাস, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও আবাসন ব্যবস্থা এবং প্রতি জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বধ্যভূমি সংরক্ষণ; যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্রতিরোধ যুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্বাধীনতাস্তম্ভ, ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ভাস্কর্য স্থাপনের কার্যক্রম নির্মাণে প্রকল্প ও মুজিবনগরে ঐতিহাসিক কর্মকান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তৃণমূল পর্যন্ত এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট পৌছে দেবার বিভিন্ন অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ খেতাব “স্বাধীনতা পুরস্কার” লাভ করেছেন।

 

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক শিক্ষা ও সমাজ সেবামূলক অসংখ্য কর্মকান্ডে জড়িত আছেন। তিনি সরকারি সফরে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপের বহু দেশে ভ্রমন করেছেন।